মো আমান উল্লাহ, বাকৃবি
মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম ইফতী মারা যাওয়ার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা সকল দাবী লিখিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো সাইফুল ইসলামের কাছে জমা দেন। নিহত শিক্ষার্থী বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- নিহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, প্রকাশ্য জবাবদিহি মূলক বক্তব্যসহ প্রক্টরের পদত্যাগ এবং যোগ্য প্রক্টরের নিয়োগের নিশ্চয়তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সড়কে ভারি যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, নির্মাণাধীন অবকাঠামোর আশেপাশে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া, দূর্ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী স্থানে মোরশেদুল ইসলাম ইফতীর স্মরনে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা। শিক্ষার্থীরা এই ৫টি দাবি ৪৮ ঘন্টায় মধ্যে কার্যকর করার দাবি জানায়। তাদের দাবি পূরণ না হলে আবারও আন্দোলনের ঘোষনা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের উল্লেখিত দাবী ছাড়াও বাকি দাবিগুলো হচ্ছে, সড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা করা, দায়িত্বরত কর্মকর্তার অধীনে ময়মনসিংহ মেডিকেলে বাকৃবির শিক্ষার্থীদের আলাদা চিকিৎসার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা, অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা বাড়ানো এবং হেলথ কেয়ারে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করা, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা কর্মী বাড়ানো এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা কর্মীর অবস্থান জোরদার নিশ্চিত করা, কেবি কলেজ সংলগ্ন কৃষ্ণচূড়া রোড দ্রুত সংস্কার করার দাবিগুলো লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয়ে অধ্যাপক ড. খান মো সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে তাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে জমা দিয়েছে। আমি উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখায় লিখিত দাবিগুলো পাঠিয়েছি। তারা বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কোনো সতর্কতামূলক বোর্ড না থাকায় ইফতির উচ্চ গতিতে আসা মোটরসাইকেল সংস্কার চলমান সড়কের ভাঙা গর্তে ঢুকে যায়। এসময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যায় ইফতি । গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশের সহযোগিতায় তাদের মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার রাত আড়াইটায় দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইফতির মৃত্যুর পরে এখন সংস্কার চলমান ওই সড়কে বসানো হয়েছে সতর্কতামূলক বোর্ড এবং দেওয়া হয়েছে বাশেঁর ও লোহার নিরাপত্তা বেষ্ঠনী।