আল-আমিন,বেরোবি প্রতিনিধি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গত দেড় বছর থেকে বন্ধ বৃহস্পতিবারের অফলাইন ক্লাস ও ক্যাম্পাস কার্যক্রম।গত (১২ আগষ্ট)২০২২ সাথে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৪১তম জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের দেড় বছর সময় অতিক্রম হলেও,বৃহস্পতিবারের অফলাইন ক্লাস নেওয়ার কোন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসেনি, বিদ্যুত সাশ্রয়ের নামে এভাবেই চলে আসছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর বির্তকিত বৃহস্পতিবারের অনলাইন ক্লাস।
উক্ত সিদ্ধান্তে,প্রথম থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছিল ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া।সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করেন,বাংলাদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে,এবং জ্ঞান অর্জনে এবং জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অতি গুরুত্বপূর্ণ।সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ইতিবাচক কোন ফলাফল আমরা খুঁজে পাইনা।দিনে দিনে আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায় খাতে পরিণত হচ্ছে।বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো লাভ ক্ষতির হিসাব করে পাঠ দান করে বলে, মন্তব্য করেন সাধারন শিক্ষার্থীরা।
উক্ত বিষয়ে,অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন,আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দিন দিন ব্যবসায় খাতে পরিণত হচ্ছে।দিনে দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।সাধারণ শিক্ষার্থীরা বারবার লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে,অথচ ইভিনিং এমবি গুলো ঠিক মত চলছে। আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন ইভিনিং এমবি থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ আয় করার সুযোগ পায়,যে কারণে ইভনিং এমবিএ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হয়। অথচ বৃহস্পতিবার অনলাইন ক্লাসের অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়। এতে ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তারেক বলেন,বৃহস্পতিবার অনলাইন ক্লাসে অজুহাতে বারবার ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।সেই সাথে ক্যাম্পাসের বাস চলাচল বন্ধ থাকে এতে বিপাকে পরছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার সেবাও করা হয়েছে সীমিত।এতে করে নানান ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন বলেন,অনলাইন ক্লাস কখনই ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে না।আবার চাইলেও যে বিষয়গুলো অফলাইনে করা সম্ভব সেগুলো অনলাইনে করা সম্ভব নয়,বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অজুহাত দেখিয়ে,বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়,এতে করে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে,একই সাথে নানান ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী শিক্ষক,কর্মচারী।
বর্তমানে সেশন জট থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তি পেলেও, দেখা দিয়েছে নতুন করে নানান শঙ্কা। সাধারন শিক্ষার্থীদের কাছে এ যেনো এক ভোগান্তির নাম, সাধারন শিক্ষার্থীরা এর শেষটা জানতে চাই। উক্ত বিষয়ে,উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি, বলেন বৃহস্পতিবারের ক্লাস এখনো অনলাইনেই হবে। এর শেষ কবে সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা এখন, পরবর্তি সিন্ডিকেট প্রোগামে হয়তো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানান।