মোঃ আল আমিন বেরোবি প্রতিনিধি:
‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) মার্কেটিং বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এর আয়োজন করা হয়। মার্কেটিং বিভাগের আয়োজনে নানা কর্মসূচি মাধ্যমে ভোক্তা দিবস পালন করা হয়। শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর থেকে র্যালী বের হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্কের মোড় হয়ে আবারও মিডিয়া চত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ মাজেদুল হক, মার্কেটিং বিভাগের ১২ তম, ১৩ তম এবং ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের ইতিহাস বেশ ঘটনাবহুল।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। ভোক্তাদের চারটি অধিকারের বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। এগুলো হলো—নিরাপত্তার অধিকার, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার। দিনটি ছিল ১৫ মার্চ, ১৯৬২। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরও বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে।
কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৫ মার্চকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়। এই সময় মার্কেটিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সামরিয়া নেওয়াজ বলেন, আমাদের যে কোন পণ্য পছন্দ করে এবং দারদাম করে ক্রয় করা অধিকার আছে, আমাদের কাছে অতিরিক্ত দাম চেয়ে আমাদের কাছে বেশি টাকা আদায় করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। আমাদের ক্রয় কৃত পণ্য পুনরায় ফেরত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্যাকেটের গায়ে লিখা থাকে বিক্রিত মাল ফেরত যোগ্য নয় এটা আমাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।
এই সব দিকে সরকার এবং প্রশাসনের দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে ভোক্তারা কোনোভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। মার্কেটিং বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরারুল হক বলেন, আমরা যারা ভোক্তা রয়েছি আমাদেকে নানা ভাবে ঠকিয়ে থাকে ওজনে কম দিয়ে, ভেজাল পণ্য দিয়ে, অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্য গুদামজাত মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করে। আমাদের পচা বাসি খাবার দিয়ে। নানান ভাবে আমাদের ভোক্তা অধিকার থেকে বঞ্চিত করতেছে। এর পর মার্কেটিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ মাজেদুল হক বলেন, যখন আমরা একটা পণ্য কিনতে যাই পণ্যের গায়ে লিখা মূল্য ১৫ টাকা, আমাদের কাছে চাওয়া হচ্ছে ২০ টাকা কিন্তু আইনে লেখা আছে ১৫ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না, ১৫ টাকার নিচে বিক্রি করতে পারবে। দামের দিক দিয়ে, মানের দিক দিয়ে, ওজনের দিক দিয়ে যে অনিশ্চয়তা, ভেজালে ভরা আমাদের বাজারের পণ্য গুলো। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়েছে কিন্তু এখনো আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
পৃথিবীর মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে রমজান উপলক্ষে পণ্যের বাজার মূল্য কমানো হয়, কিন্তু আমাদের দেশ বিপরীত আমাদের দেশে রমজান উপলক্ষে পণ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পায় শাকসবজি, ফলমূল, এবং মনিহারি দোকান গুলোতে। আমি বলতে চাই আসুন আমাদের দেশকে ভালোবাসি, ক্রেতাদের কে ভালোবাসি, আসুন আমরা সৎ ব্যবসায় এর অন্তর্ভুক্ত হয়।