মো আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশে মৎস্য খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারী শ্রমিকদের প্রাধান্য রয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাৎস্যবিজ্ঞানে প্রায় ৫০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হন । কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তাদের উপস্থিতি খুবই কম। মহিলারা মাছ চাষে, কেউ প্রক্রিয়াকরণে, মাছ শুকানো, গবেষণা, স¤প্রসারণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করছেন।
মৎস্য শিল্পে তাদের বিরাট অবদান রয়েছে কিন্তু তাদের সাথে পুরুষদের মতো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক “ভয়েসেস অফ দ্য গ্লোবাল সাউথ অ্যাকুয়াটিক ফুড সিস্টেমস” শীর্ষক অনলাইন ওয়েবনারে একথা বলেন।
ওয়েবিনারটি বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বাকৃবি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যদের অংশগ্রহণের সাথে অনুষ্ঠিত হয় ।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরে নারীদের কোনো সঠিক তথ্যভার নেই।
অন্যদিকে আমাদের ফিশারিজ পলিসি আছে যেখানে নারীদের নিয়ে কোনো কথা নেই। তাই মৎস্য শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পেও নারীদের কল্যাণে আওয়াজ তুলতে হবে। দক্ষিণ বিশ্বের মৎস্য খাতের নারী শ্রমিকদের জন্য আওয়াজ তুলতে এই ওয়েবিনারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছোট আকারের মাছ ধরা এবং জলজ শিল্পের সাথে জড়িতদের মধ্যে আশ্চর্যজনকভাবে ৪০% নারী রয়েছে যা সারা বিশ্বে জীবিকা মোট ৫০০ মিলিয়ন মানুষের নিরাপত্তা দেয়।
ওয়েবিনারটি সন্চালন করেন জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং নরউইচ ইনস্টিটিউট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ( এনআইএসডি) এর পরিচালক অধ্যাপক নিত্য রাও ।
বাংলাদেশ মৎস্য বিভগের সহকারী পরিচালক মাফোজা বেগম, বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, উগান্ডার জাতীয় মহিলা মাছ সংস্থার ( ইউএনডবিøউএফও) পরিচালক লভিন কোবুসিংয়া, উগান্ডা ন্যাশনাল ফিশারিজ রিসোর্সেস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ড. জন ওয়ালাকিরা এবং আরও অনেকে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।