– সৈয়ব আহমেদ সিয়াম
শুরুতেই পরিচিত হই বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রক্তদান সংগঠনগুলোর সাথে:
• ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: “বাঁধন”
• রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: “স্বজন”
• চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: “কণিকা”
• ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: “রক্তিমা”
• মেডিকেল কলেজ: “সন্ধানী”
উল্লেখ্য, সন্ধানীর প্রথম স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীকে স্মরণ করে আমরা প্রতি বছর ২ নভেম্বর “জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস” উদযাপন করে থাকি। ১৯৭৭ সালে হঠাৎ একদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক ছাত্র সন্ধানীর সদস্যদের কাছে ছুটে এসে বললেন, “বাবার অপারেশন করতে হবে, জরুরি ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন।” পেশাদার রক্তদাতাদের অনিরাপদ রক্ত গ্রহণের ভয়ে শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিলেন নিজেরাই রক্ত দেবেন।
এর ফলে ২ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের অধ্যাপক ডা. আবদুল কাদেরের সহায়তায় বাংলাদেশের প্রথম “স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি”র আয়োজন করে সন্ধানী। সন্ধানীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইদ্রিস আলী মঞ্জু সবার আগে রক্তদান করেন।
মেয়েদের রক্তদান কার্যক্রমে যুক্ত করতে প্রথম রক্ত দিলেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী হোসনে আরা লাকী। সবার সহযোগিতায় ঐতিহাসিক ওই দিনে ২৭ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছিলো। এই মহতী উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপদানের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে ঐ দিনটিকেই “জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস” হিসেবে প্রতিবছর সরকারিভাবে পালন করার ঘোষণা দেয় সরকার।
এখন সারাদেশে প্রতি বছর আলোচনা সভা, রক্তদান, পোস্টারিং এবং বৃক্ষরোপণেন মাধ্যমে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।