ঢাবি প্রতিনিধি
❝মত প্রকাশের স্বাধীনতা”র পক্ষে বানানো ভাস্কর্য গুম ও ধ্বংসের ঘটনা রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের সুস্পষ্ট প্রমাণ❞
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের দফতর সম্পাদক অর্ণি আঞ্জুম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই শিরোনামে প্রতিবাদ জানানো হয় জানানো হয়৷
প্রসংগত, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সেন্সরশিপ এ নিপীড়নের ঘটনাসমূহের প্রতিবাদস্বরুপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বইমেলার প্রবেশমুখে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে, জনপরিসরে শিল্প নিরীক্ষার অংশ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি প্রতিবাদী স্থাপন করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার রাতের গভীরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিম এই প্রতিবাদী ভাস্কর্য টি সরিয়ে দেয়। সর্বশেষ রবীন্দ্রনাথের ভাষ্কর্যটির ধ্বংশাবশেষ এবং তার ভাংগা মাথা সোহরার্দী উদ্যানে দেখা যায় এবং সেখান থেকে এই মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
ভাষ্কর্য প্রকল্পের অন্যতম শিল্পী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ভাষ্কর শিমুল কুম্ভকার এই বিষয়ে বলেন, “প্রক্টর মহোদয় কর্তৃক রাতের আধারে এই উপায়ে ভাস্কর্যটি অপসারণ এখন আর আমাদের আর এখন অবাক করে না। এটা চলমান “সেন্সর” আরোপের রাজনীতিরই ধারাবাহিকতা। ভাস্কর্যটিতে দেশে চলমান এই
রাজনৈতিক সংস্কৃতিকেই প্রতিবাদস্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় যে, রাষ্ট্র যেভাবে মতপ্রকাশকে দমন করে আসছিলো,
বিশ্ববিদ্যলয়ের দালাল প্রশাসন সেই দমন-পীড়ন বিরোধী একটি প্রয়াসকে একই উপায়ে দমন করলো।”
সংগঠনটি আরো উল্লেখ করে, রাজু ভাষ্কর্যের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের সাথে কোনোরূপ আলোচনা না করে তারা রাজুর পাদদেশ থেকে মানুষের অধিকারের পক্ষে বানানো একটা ভাষ্কর্য গুম করে বিনষ্ট করে দেওয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরকারের তোষামোদি বলে মনে করেন তারা।
ইতিপূর্বে ছাত্র ইউনিয়নের সাথে আলোচনা ছাড়াই শতবর্ষ উদযাপনের সময়কালে সংগঠন কর্তৃক ভাষ্কর্য পরিধির মধ্যে কাউন্টডাউনের পিলার বসানোর মূল ঘটনা স্মরণ করিয়ে নিয়ে প্রক্টরকে ছশিয়ার করে এই ধরনের চর্চা থেকে বের হয়ে নিজেকে সংশোধন করার আহবান বাংলাদেশ ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।
পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করে এই সংগ্রা মকে আরোও জোরদার করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।