বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগ নেতা দ্বারা শিক্ষার্থীকে মারধর এবং শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত করা হয়। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও পেরিয়ে গেছে ৩৬ দিন। এরপরও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। শিক্ষার্থীকে মারধর এবং শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহাকে সভাপতি, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোক্তার হোসেন, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন-২, কৃষিতত্ত্ব বিঅগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক এবং ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. পলি কর্মকারকে সদস্য করে ৩য় বারের মতো সংশোধিত কমিটি গঠন করা হয়।
সময় মতো তদন্ত প্রতিবেদন জমা না পড়ার বিষয়ে তদন্ত কমিটির সভাপতি ড. সুকুমার সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন এবং কৃষিবিদ দিবস নিয়ে সবারই ব্যস্ততা কেটেছে। এছাড়া বারবার কমিটির সদস্য পরিবর্তন হওয়ার কারণে কাজ বেশি দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। সময় লাগলেও সঠিক তদন্তদের মাধ্যমে আমরা সত্য তথ্য বের করতে চায়। আমরা ৩ সপ্তাহ সময় বৃদ্ধির জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।
সময় বৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যারয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্যে সময় চেয়ে আবেদন করেছে। তাদের আবেদন গ্রহণ করে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার বলেন, আমরা আশা করেছিলাম তদন্ত কমিটি সঠিক সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে। সমাবর্তন এবং কৃষিবিদ দিবসের কারণে আমরা ছাড় দিয়েছি। কিন্তু এখন কার্যকর কোনো অগ্রগতি না দেখলে সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, জোরপূর্বক কক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষককে লাঞ্ছনা এবং মাসহ এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে।
গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলামের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারিকে লাঞ্ছিত করা হয় এবং মারধর করা হয় ভেটেরিনারি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব দুর্বারকে।