মো আমান উল্লাহ, বাকৃবি
আমরা যখন একটি কাজ হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারবো তখনই সেই কাজটি ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। এই বিশ্বে আমাদের অস্তিত্বের কারণ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য তা পূরনের জন্য আমরা কাজ করছি। পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু সৃষ্টির পিছনে কারণ আছে, উদ্দেশ্য আছে। উদ্দেশ্যহীন ভাবে কোনো বস্তু সৃষ্টি হয় নি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অষ্টম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে (কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ) সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো আব্দুর রাজ্জাক।
এ সময় সদ্য কৃষিবিদদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্য সমাবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। সমাবর্তন গ্র্যাজুয়েটদের সামাজিক দায়বদ্ধাতা নিয়েও সচেতন করে। আমি যদি ভুল না করি তাহলে এই প্রথম বাকৃবির সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করছেন একজন কৃষিবিদ। এই বিষয়টি সমাবর্তনে ভিন্ন একটি মাত্রা যোগ করেছে। সমাবর্তনকে ঘিরে গ্র্যাজুয়েটদের অনেক স্বপ্ন জড়িয়ে থাকে। আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে।স্বপ্ন জয়ের পিছনে বাধার কোনো শেষ নেই। আমাদের সততা, সহমর্মিতা, পরমত সহিষ্ণুতা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। এই চেষ্টাগুলো নিয়েই আমাদের দেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো আব্দুল হামিদের সদয় অনুশাসনে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, উচ্চশিক্ষা কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম-১, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন ও অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ড. দীপু মনি বলেন,
সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের সকলকে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট শিক্ষাই স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। আর স্মার্ট নাগরিকরা তৈরি করবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাকৃবির উচ্চশিক্ষা কো-অর্ডিনেট এবং নিজ নিজ অনুষদের ডিনরা ডিগ্রি প্রদানের জন্য অনুষ্ঠানের সভাপতির কাছে আবেদন করেন। এ সময় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি মিলিয়ে মোট ৬ হাজার ৫’শ ২১ জনকে ডিগ্রি এবং ২’শ এক জনকে স্বর্ণপদক প্রদানের ঘোষণা করা হয়।