এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে বন্ধ্যত্বের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন শহীদ তাজউদ্দীদ আহমেদ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জেবুন্নেছা বেগম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
অনেক পুরুষ বন্ধ্যত্ব মেনে নিতে পারে না এবং ছেলেরা ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে চায় না। কীভাবে পুরুষ পেশেন্টদের কাউন্সেলিং করেন? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. জেবুন্নেছা বেগম বলেন, এটা আসলে একেক জন একেক ভাবে করে। আমি প্রথমে ওদের সাথে প্রথমে কথা বলে ইজি হই। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ডক্টর-পেশেন্ট সম্পর্ক ভালো করা আর কি। আমি ওদের একটা ডায়াগ্রাম দিয়ে ছবি এঁকে বোঝাই যে এভাবে এভাবে ফার্টিলাইজেশন হচ্ছে। তো যখন দেখে যে একটা ডিম্বাণু ফার্টিলাইজ হতে গেলে স্পার্ম ছাড়া হচ্ছে না এবং স্পার্মটা টিউব পর্যন্ত আসতে হবে। এই আসার পথে কোথাও বাধা থাকতে পারে, সিমেন সংখ্যায় কম থাকতে পারে বা মরফোলজিতে কোনও প্রবলেম থাকতে পারে। এই জিনিসটি যখন তাকে বোঝাই, তখন সে আর কোনও ভাবেই না করে না।
ডা. জেবুন্নেছা বেগম আরও বলেন, কাউন্সেলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আছে প্রথম থেকেই বলে, আমার কোনও ট্রিটমেন্ট লাগবে না। আমি যখনই তাদের এভাবে ডেকে কাউন্সেলিং করে বোঝাই, তখন দেখা যায় ঠিকই বোঝে। ওদের আমরা আরেকটা জিনিসও বলে দিই, মাসিকের কোন সময়টাতে সে কনসিভ করবে। অনেকে জানে না, কোন সময়টাতে সে কনসিভ করবে। একটা মাসকে যদি ৩০ দিন ধরি, তো প্রথম ১০ দিন, মাঝের ১০ দিন ও শেষের ১০ দিন। মাসিকের প্রথম ১০ দিন এবং শেষের ১০ দিন সাধারণত কনসিভ করে না। তো দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী দুজন দু-জায়গায় থাকে চাকরির জন্য। ওদের আমরা বলি, ছুটি নিলে ১০ম দিন থেকে ২০তম দিনের মধ্যে ছুটি নেবেন। এ সময় এক দিন পরপর হাসব্যান্ড-ওয়াইফ থাকবেন।