বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
তবে ঈশ্বরাপ্পা এও বলছেন, এখন তেরঙ্গাই (সাদা, গেরুয়া, সবুজ তিন রঙের) ভারতের জাতীয় পতাকা, তাই সবারই তেরঙ্গা পতাকাকে সম্মান দেখানো উচিত।
“শত শত বছর আগে শ্রী রামচন্দ্র ও হনুমানের রথে গেরুয়া পতাকাই উড়ত। আমাদের দেশে কি তখন তেরঙ্গা পতাকা ছিল? এখন তেরঙ্গা আমাদের জাতীয় পতাকা হিসেবে স্বীকৃত, একে সবারই সম্মান দেখানো উচিত, এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না,” বলেছেন ঈশ্বরাপ্পা।
গেরুয়া পতাকা কি লাল কেল্লায়ও উড়ানো হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ এ বিজেপি নেতা বলেন, “এখন নয়, ভবিষ্যতে কোনো একদিন।”
“হিন্দু বিচার ও হিন্দুত্ব নিয়ে আজ আলোচনা চলছে। আমরা যখন বলতাম অযোধ্যায় রাম মন্দির হবে, তখন অনেকেই হেসেছেন। এখন কি সেখানে রামমন্দির হচ্ছে না? একইভাবে, ভবিষ্যতে কোনো একদিন, ১০০, ২০০ বা ৫০০ বছর পরে গেরুয়া পতাকাই হতে পারে জাতীয় পতাকা। আমি জানি না,” বলেন তিনি।
তবে যারা এখন সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় পতাকা তেরঙ্গাকে সম্মান দেখাবে না, তারা দেশদ্রোহী, বলেন ঈশ্বরাপ্পা।
“আমরাই গেরুয়া পতাকা উড়াই। আজ নয়, ভবিষ্যতে কোনো একদিন দেশে হিন্দু ধর্ম আসবে, সেসময় আমরা লাল কেল্লায়ও গেরুয়া পতাকা উড়াবো। এখন তেরঙ্গা আমাদের জাতীয় পতাকা, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই এবং সবারই একে সম্মান দেখানো উচিত,” বলেন তিনি।
মঙ্গলবার শিবমোগার সরকারি ফার্স্ট গ্রেড কলেজে হিজাববিরোধী এক বিক্ষোভের সময় কিছু শিক্ষার্থী তেরঙ্গা নামিয়ে গেরুয়া পতাকা উড়িয়ে দিয়েছিল- রাজ্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ডি কে শিবকুমারের এমন দাবির প্রেক্ষিতেই মূলত ঈশ্বরাপ্পা তেরঙ্গা ও গেরুয়া নিয়ে এসব বলেছেন।
শিবকুমারের দাবিকে ‘মিথ্যাচার’ অ্যাখ্যা দিয়ে ঈশ্বরাপ্পা বলেছেন, রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি হিন্দু-মুসলিমদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন।
“ডি কে শিবকুমার একটা মিথ্যুক, তাকেই প্রমাণ করতে বলুন। হ্যাঁ, সেখানে গেরুয়া পতাকা উড়েছে, কিন্তু জাতীয় পতাকা নামিয়ে নয়। গেরুয়া পতাকা যে কোনো জায়গায় লাগানো যায়, তবে জাতীয় পতাকা নামিয়ে লাগানো যাবে না। এটা হয়নি, কখনো হবেও না। জাতীয় পতাকা সরানো হয়নি, কেবল পতাকার স্ট্যান্ডটি ব্যবহার করা হয়েছে,” বলেছেন কর্ণাটকের গ্রাম উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজমন্ত্রী।
শিবমোগা কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের কর্মকর্তারাও একই কথা বলছেন।
“পতাকার স্ট্যান্ডটি খালিই ছিল। কয়েকজন সেখানে গেরুয়া পতাকা বেঁধে দিয়েছিল। পরে তারাই সেটি সরিয়ে নেন,” বলেছে তারা।