ইউক্রেন সংকটে আলোচনার দরজা খুলতে চায় রাশিয়া,সমতার বার্তা ক্রেমলিনের। শান্তির বাতাসে কি এবার ধোঁয়া মুছবে যুদ্ধের মেঘ? ক্রেমলিনের সাম্প্রতিক ঘোষণায় তেমনই আশা জাগাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানালেন, ‘সমতার ভিত্তিতে, পারস্পরিক শ্রদ্ধার আলোকে আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপের জন্য প্রস্তুত।’
ইউক্রেন যুদ্ধে রক্ত ঝরছে প্রতিনিয়ত। নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে রাশিয়ার অর্থনীতি হাঁসফাঁস করলেও সামরিক সংকল্পে পিছিয়ে নেই মস্কো। এর মধ্যেই ট্রাম্প সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন। না হলে নিষেধাজ্ঞা ও করের দাবানল রাশিয়াকে গ্রাস করবে।’পেসকভের উত্তরে এসেছে নিরুত্তাপ শান্তির আহ্বান। নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জন্য নতুন নয় বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে আভাস দিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে রাশিয়া প্রস্তুত।
জাতিসংঘে রাশিয়ার ডেপুটি দূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, ‘ট্রাম্পের চুক্তির রূপরেখা সম্পর্কে আগে পরিষ্কার ধারণা পেলে শান্তি আলোচনা বাস্তবায়নের পথ তৈরি হতে পারে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞার ঘেরাটোপ দিয়ে মস্কোকে চেপে ধরেছে। যদিও রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের সামরিক চাহিদা পূরণে সম্পদ পর্যাপ্ত। যুদ্ধের মাঠে অস্ত্রের গর্জন,
কূটনীতিতে শোভিত সম্মানের দর্পণ।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার আহ্বান,
শান্তি কি পাবে এবার প্রাণ?
স্মৃতি আর শক্তির লড়াই থামিয়ে,
সমতার আলোয় যুদ্ধের অন্ধকার মুছে,
আলোচনার পথ ধরে এগোবে সময়,
ইতিহাস কি বলবে—বিজয়ের কবিতা?
রাশিয়ার আহ্বান আর ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কি শান্তির সেতু তৈরি করবে, নাকি যুদ্ধের অন্ধকার আরও গভীর হবে? সময়ই বলবে।