যুক্তরাষ্ট্র ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ প্রত্যাহার করবে। এই সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন কার্যক্রমের অংশ, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক নিশ্চিত করেন যে ডব্লিউএইচও ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেওয়া এই নোটিশ অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে সদস্যপদ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া কার্যকর হবে। ডব্লিউএইচও থেকে কোনো দেশ বেরিয়ে গেলে এক বছরের নোটিশ এবং বকেয়া অর্থ পরিশোধের নিয়ম রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএইচওর কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, ডব্লিউএইচওর মোট তহবিলের প্রায় ১৮ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে।
বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা, এইচআইভি/এইডস, এবং ভবিষ্যৎ মহামারি প্রতিরোধে অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া ডব্লিউএইচওর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্থান বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি ডব্লিউএইচওর বিরুদ্ধে স্বার্থপর নীতি গ্রহণের অভিযোগ তুলে মার্কিন অর্থায়ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া মার্কিন সরকারের সব কর্মীকে ডব্লিউএইচওর কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশও দিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি শুধু ডব্লিউএইচওর আর্থিক সঙ্কট তৈরি করবে না, বরং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর সুরক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওপর তার কৌশলগত অবস্থানকে আরো স্পষ্ট করেছে। বিশ্ব এখন অপেক্ষায়, কীভাবে এই সংকট সামাল দেবে ডব্লিউএইচও এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।