ক্যালিফোর্নিয়ার বোর্ড নিবন্ধিত ত্বকবিশেষজ্ঞ ক্যারেন ক্যাম্পবেল বলেন, “ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে ত্বককে বাঁচাতে ‘অ্যান্টিইনফ্লামাটরি’ বা প্রদাহরোধী ধরনের উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেওয়া উপকারী। এতে ত্বক ভালো থাকে সতেজ লাগে।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই চিকিৎসক আরও বলেন, “শীতে বাতাসের আর্দ্রতার মাত্রা কমে যাওয়ায় ত্বককে বেশি শুষ্ক করে ফেলে। ফলে প্রদাহ বাড়ে এবং ত্বকের সুরক্ষায় স্তর নাজুক হয়ে পড়ে।”
২০১৬ সালে ২৫ জন নারীর ওপর নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ নারীর শীতকালে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আরও দেখা গেছে ত্বক আর্দ্র রাখতে প্রয়োজনীয় সেরামাইড, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা শীতকালে কমে যায়। ফলে ত্বকের সুরক্ষায় স্তর কিছুটা নাজুক হয়ে পড়ে। এজন্য এই সময়ে ত্বকে একজিমাসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার বোর্ড নিবন্ধিত ত্বকবিশেষজ্ঞ শার্লি চি বলেন, “ত্বকের সুরক্ষার স্তর মজবুত না হলে তা নানান ধরনের উপাদান সহ্য করার ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতা হারাতে পারে।”
ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়ায় যেমন- নানান রকমের রাসায়নিক উপাদান, সাবান ইত্যাদিতে সহজেই ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে। তাই শীতকালে নতুন পণ্য খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
চি বলেন, “শীত ও শুষ্ক আবহাওয়ায় খুব বেশি উপকরণ সমৃদ্ধ পণ্য যেমন সুগন্ধি, বোটানিক্যাল ও অতিরিক্ত সংরক্ষক যুক্ত পণ্য ত্বকে ব্যবহার করা অস্বস্তি ও অ্যালার্জি সৃষ্টির কারণ হতে পারে।”
শুষ্কতার কারণে যেহেতু ত্বকের প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে শীতকালেও অনেকের ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও প্রদাহের কারণে ত্বকে চুলকানি, ফোলা ভাব, লালচে ভাব, ছোট বড় ক্ষত ইত্যাদি দেখা যেতে পারে বলে জানান, ডা. ক্যাম্পবেল।
‘অ্যান্টিইনফ্লামাটরি’ উপাদান যেমন- নিয়াসিনামাইড, গ্রিন টি এবং অ্যালো ভেরার জেল ত্বকের পক্ষে আরামদায়ক, আর্দ্রতা যোগায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ময়েশ্চারাইজারে ব্যবহৃত উপাদান সেরামাইডস ত্বকের সুরক্ষায় স্তর উন্নত করে ও সুস্থ রাখে।