ঢাবি প্রতিনিধি
সন্ধায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বিদায়’ শিরোনামে ভাঙা চশমার ছবি আপলোড করেন,তার কয়েকঘন্টা পরেই নিজ বাসায় মৃতদেহ পাওয়া যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) শিক্ষার্থী নাবিল হায়দার এর।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ভাড়া বাসায় ঢাবির চতুর্থ বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাবিলকে নিজ বাসায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এদিকে নাবিল হায়দারের এরকম মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার সহপাঠী থেকে শুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তার রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরা। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বলে জানা গেলেও ফেসবুকে নাবিলের কয়েক ঘন্টা আগেই ‘বিদায়’ লিখে স্ট্যাটাস দেয়ায় জনমনে কৌতুহল এর জন্ম দেয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশ করেন অনেকেই।
নাবিল হায়দারের মৃত্যুর ব্যাপারে ঢাবির নবনিযুক্ত প্রক্টর ড.মাকসুদুর রহমান জানান, মেডিকেল ইনভেস্টিগেশন ছাড়া আমরা বলতে পারি না তার মৃত্যু কিভাবে হলো। ও ক্যাম্পাসের ভেতরে মারা যায় নাই ক্যাম্পাসের বাইরে যে বাসায় ভাড়া থাকত সেখানে মারা গেছে। আমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছেলে, খুবই ম্যাচিউর একটা ছেলে মারা গেলো এভাবে তাই আমরা সবাই শকড।
এই মৃত্যুর ব্যাপারে কোন ইনভেস্টিগেশন হবে কি না জানতে চাইলে তিনি নব প্রভাতকে আরো জানান যে, তার (নাবিলের)বাবা মা বলেছে যেহেতু ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছেন যে সে মারা গেছে এর পর আর কোন ইনভেস্টিগেশন এ তারা যান নি। সকালে কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাযার নামাজ হয়েছে। আগামীকাল সকালে তাকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।’
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এক শোকবার্তায় বলেন, আমরা মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং পরিবারের শোক সইবার শক্তি প্রার্থনা করছি।
নাবিল এর গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নে। তার বাবার নাম জসিম উদ্দিন হায়দার। তিনি বোরহান উদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। নাবিল হায়দার নিজেও দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সদ্যসাবেক কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।