বিএনপির বিরুদ্ধে নানা মহল মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে দমন করা সহজ নয়, কারণ এটি জনগণের দল।”
বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার দেশের প্রতিটি খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। আগামীর সরকার গঠন একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তাই আমাদের নিজেদেরকেও শুধরাতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একবার ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে, দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারবে না।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও গুম-খুনের শিকারদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন:”আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে।তালিকা করে শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়ানো হবে।ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের স্মরণে সরকারি স্থাপনার নামকরণ করা হবে।”
তারেক রহমান দাবি করেন, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু দল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ছিল, আবার কেউ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। অথচ দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। দেশের মানুষের অধিকার রক্ষাও ঈমানের অংশ।”
কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৮০ নেতাকর্মী অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে কর্মশালার প্রথম পর্ব, যেখানে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।এরপর বিকালে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিএনপির এই কর্মশালা ও তারেক রহমানের বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।