নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটিতে ছেলের নাম অন্তর্ভুক্ত না করায় প্রকাশ্যে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা মো. রেজাউল হকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের পণ্ডিতের হাটে পশ্চিম চরকাঁকড়া পণ্ডিতের হাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এন এন ইয়াসিনকে লাঞ্ছিত করেন বিএনপি নেতা রেজাউল হক। প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং কোম্পানীগঞ্জ-পণ্ডিতের হাট সড়ক অবরোধ করে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের নতুন অ্যাডহক কমিটির জন্য তিন সদস্যের নাম প্রস্তাব পাঠানোর সময় বিএনপি নেতা রেজাউল হকের ছেলের নাম বাদ পড়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। তার ছেলে কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রেজাউল হক প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি শুধু প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করেছি, তবে একটু গালমন্দ করেছি।”
কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই নাহিদ হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।