বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক। তারা হলেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ এবং গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নূর আলম।
৪ অক্টোবর এলসেভিয়ার ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ তালিকা প্রকাশ করা।
ড. মো. হারুনুর রশিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এই গবেষকের গবেষণার উপর দুটি বই এবং ১০০টির অধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
তাঁর এই অর্জনের অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন,
“এলসেভিয়ার এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ দ্বারা প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ 2% বিজ্ঞানীদের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে গবেষক সারা বিশ্বে খুব বেশি তা না। এর মধ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক আছি যা একটা বিশাল প্রাপ্তি এবং অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমি মনে করি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা বড় ক্রেডিট”।
তিনি আরো বলেন ,”আমরা গ্লোবালি বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন গবেষকদের সাথে কাজ করি। আমাদের ভালো একটা সার্কেল থাকায় এরকম হয়েছে। এইটা বাংলাদেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা সৌভাগ্যের বিষয়। নতুন জায়গায় অল্প ফেসিলিটির মধ্যে কাজ করে উঠতে পারছি শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীদের তালিকায়।
আমি মনে করি, আমাদের এই অর্জনের মধ্যে দিয়ে অনেক শিক্ষক – শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় খুব আগ্রহ ও উৎসাহ বোধ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার অগ্রগতি সাধিত হবে। “
ড. নূর আলম চীনের ‘ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না’ (ইউএসটিসি) থেকে ২০২০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এই গবেষকের গবেষণার উপর দুটি বই এবং ১০০টির অধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
তাঁর এই অর্জনের অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন,
“পরপর দুইবার ২০২২ সাল এবং ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট ইউনিভার্সিটি যেখানে কোন সুযোগ সুবিধা নাই সেখান থেকে আমার নাম বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীদের তালিকায় এসেছে সেজন্য আমি অত্যন্ত খুশি। এটা শুধু আমার অর্জন নয় এটা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো পরিবারের। এর আগে ২০২২ সালে শুধু আমি একাই বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম লিখাতে পেরেছিলাম। এবার পাবিপ্রবি থেকে দুইজন নাম লিখিয়েছি। আমি আশা করতেছি এভাবে পাবিপ্রবি থেকে আরো অনেক শিক্ষকের নাম এই লিস্টে আসবে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রশাসনকে অনেক ধন্যবাদ ওনারা গবেষণার অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়েছেন এবং রিসার্চ আওয়ার্ড চালু করেছেন। এভাবে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থী বেশি গবেষণা উৎসাহ ও আগ্রহ বোধ করবেন আর এভাবেই আমার ছোট বিশ্ববিদ্যালয় পাবিপ্রবি গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”
উল্লেখ্য এ বছর এ তালিকায় বাংলাদেশের ২৩৫ জন বিজ্ঞানীর নাম এসেছে।