ইবি প্রতিনিধি:
প্রবীণ ছাত্রীদের বিদায় ও নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীদের হল বেগম খালেদা জিয়া হলে সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হল কর্তৃপক্ষ হলের মুক্ত প্রাঙ্গণে নৃত্য, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং ফানুস উড্ডয়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে হলের ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের বিদায়ী ছাত্রীদের সম্মাননা স্মারক এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবাগত ছাত্রীদের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্রী তামান্না খাতুনকে প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও খালেদা জিয়া হল প্রাধ্যক্ষ ড. ইয়াসমিন আরা সাথীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দায়িত্বরত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়াও বিশ^বিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি ও শেখ রাসেল হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সাহিদা আকতার, টিএসসিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. রুহুল কে এম সালেহ ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিয়া মোঃ রসিদুজ্জামান, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ, হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবাসিক ছাত্রী শেখ ফারাহ শারমিন বিন্দু।
হলের নবীন এক ছাত্রী অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘হলের জীবন হলো ছোট-বড় সকলের এক সুন্দর মেলবন্ধন। আজ প্রবীনদের বিদায়ে নবীনদের বরণের আনন্দে ভাটা যদিও পড়েছে কিন্তু প্রকৃতির নিয়মতো এমনই। প্রবীনরা তো আমাদের পথপ্রদর্শক।’
এদিকে হলের বিদায়ী ছাত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘আজ থেকে হলের সাথে বেঁধে রাখা বন্ধনগুলো ছিন্ন হয়ে গেলো। এখন থেকে হলে আসলে প্রাক্তন ট্যাগটা লেগে থাকবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দায়িত্বরত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিদায় কথাটি খুবই বেদনাদায়ক। তোমরা যারা ইবি থেকে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়েছো তোমরা অনেক অনেক ভালো কাজ করে এই ক্যাম্পাসের সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে। তোমার এই ক্যাম্পাসেরই সন্তান, ক্যাম্পাসের সাথে তোমাদের সম্পর্ক কখনও ছিন্ন হবার নয়। তোমরা ইবির ছাত্রী হিসেবে দেশের প্রফেশনাল এ্যাক্টিভিটিতে যুক্ত হবে এবং মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হিসেবে পরিবার ও রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াবে।
নবীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভালোকে অনুসরণ করবে এবং খারাপকে বর্জন করবে। সর্বোপরি মানসিকভাবে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রেখে পরিবার ও রাষ্ট্রকে সহযোহিতা করার জন্য প্রস্তুতি রাখবে।’