আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করে। যার মধ্যে বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্ব আছে, সে কি পারে এ দিন জন্মদিন করতে? তিনি নাকি দেশনেত্রী! একজন দেশনেত্রী কীভাবে পারে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে অবজ্ঞা করতে? আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রশ্ন করতে চাই, কারণ আমার বাবা-মাও সেদিন নিহত হয়েছিলেন। আপনি কীভাবে পারেন এই দেশের একটা বিরাট অংশকে অবহেলা ও উপেক্ষা করতে? খালেদা জিয়া দেশনেত্রী তো দূরের কথা, নেত্রী হওয়ারই যোগ্যতা রাখে না।
শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
শেখ পরশ বলেন, বিভিন্ন দেশে কালজয়ী মহানায়কদের প্রাণ দিতে হয়েছিল। সব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে একাধিক কারণে যেটি সবচেয়ে বর্বরোচিত সেটি হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ড। পরাস্ত পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্রের নৃশংসতার শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার।
তিনি বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার শাসনামলে এই আগস্ট মাসেই বার বার রক্তের কালিমা লেপা হয়েছে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা বাংলাদেশে বিএনপির মদতে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। বিএনপি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আকস্মিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নিষ্ক্রিয় ছিল ঐ দিন।
শেখ পরশ বলেন, এই যে কিছু ত্রাণ নিয়ে অসহায় ও দুস্থ ভাই-বোনদের মাঝে এসেছি; এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে দান মনে করবেন না। আজ বিশ্বমন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দামের ঊর্ধ্বগতিতে আপনাদের কষ্ট হচ্ছে- সেটা আমরা উপলব্ধি করি। তাই শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচি হিসেবে এই আয়োজন করেছি। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী রেশন কার্ডের মাধ্যমে ৩০ টাকায় আপনাদের চাল দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. এনামুল হক খান, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. জহির উদ্দিন খসরুসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা।