মোঃ আতিকুল্লাহ সরকার,বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
সম্পদের সারচার্জ হল একটি অতিরিক্ত কর যা বিত্তবান বা উল্লেখযোগ্য সম্পত্তি সম্পন্ন ব্যক্তিদের উপর আরোপিত হয়। এটি সম্পদের পুনর্বণ্টন এবং অর্থনৈতিক সমতা প্রচারের উদ্দেশ্যে করা হয়, যাতে ধনী ব্যক্তিরা সামাজিক কল্যাণে আনুপাতিকভাবে অবদান রাখে।
যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে, তাদেরকে সারচার্জ প্রদান করতে হবে যদি-
– নীট সম্পদের মূল্য ৪ কোটি টাকার বেশি হয়,
– বা, নিজ নামে একাধিক মোটর গাড়ি থাকে (কিন্তু বাস, মিনিবাস, কোস্টার, প্রাইম মুভার, ট্রাক, লরি, ট্যাঙ্ক লরি, পিকআপ ভ্যান, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নয়),
– বা, ব্যক্তির নিজ নামে গৃহ-সম্পত্তির মোট আয়তন ৮,০০০ বর্গফুটের বেশি হয়।
যেসব ব্যক্তি চলতি বছরে করযোগ্য আয়ের অভাবে আয়করের আওতায় আসেন না, তারা এ বছর সম্পদের অতিরিক্ত কর প্রদান করবেন না।
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী নির্ধারিত প্রদেয় করের উপর নিম্নরূপ হারে সারচার্জ প্রদেয় হবে। যথাঃ-
সম্পদ | সারচার্জের হার |
ক) নীট সম্পদের মূল্যমান চার কোটি টাকা পর্যন্ত- | শূন্য |
খ) নীট সম্পদের মূল্যমান চার কোটি টাকার অধিক কিন্তু দশ কোটির অধিক নয়; বা, নিজ নামে একাধিক মোটর গাড়ি বা, নিজ নামে গৃহ-সম্পত্তির মোট আয়তন ৮,০০০ বর্গফুটের বেশি | ১০% |
গ) নীট সম্পদের মূল্যমান দশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু বিশ কোটির অধিক নয়- | ২০% |
ঘ) নীট সম্পদের মূল্যমান বিশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু পঞ্চাশ কোটির অধিক নয়- | ৩০% |
ঙ) নীট সম্পদের মূল্যমান পঞ্চাশ কোটি টাকার অধিক হলে- | ৩৫% |
সুতরাং, কোটিপতি হলেই সম্পদের সারচার্জ প্রদান করতে হবে না।